ভালো খেলা থাকলে, পড়াশোনার চাপ বা কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে অনেক
সময়ই রাতের ঘুমের দফারফা হয়ে যায়। বিনিদ্র রাতের কষ্টের জের চলে সারা দিন।
মাথা ধরা, চোখ ভারি, ক্লান্তি, বার বার হাই তোলা, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া-
নানা সমস্যার প্রভাব পড়ে কাজেও।
এ রকম পরিস্থিতিতে চাঙ্গা থাকতে কী করবেন? কোনো কারণে রাতে ঘুম না হলে
কয়েকটি সহজ উপায়ের সাহায্য নিলেই পরের দিন মেজাজ একেবারে ঠাণ্ডা থাকবে।
বিশেষ করে বিনিদ্র রাতের পরের দিন চনমনে থাকতে সানগ্লাস পরে বাইরে বেরতে
নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি কয়েকজন মার্কিন নিদ্রা বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, হাতে গোনা পাঁচটি
পরামর্শ পরের দিন মেনে চললেই, ঘুম না হওয়ার ক্লান্তি আপনাকে গ্রাস করতে
পারবে না। নিউইয়র্কের একটি হেলথ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে চিকিৎসকদের দেয়া
ওই সহজ টিপসগুলো। দেখে নেয়া যাক উপায়গুলো-
১. মোবাইলে অ্যালার্ম দিলে স্নুজ মোডে রাখবেন না। অ্যালার্ম বাজলেই উঠে
পড়ার চেষ্টা করুন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যালার্ম বাজার পরে তন্দ্রা কাটাতে
অল্প ঘুম কিন্তু সারা রাতের ক্লান্তি দূর করতে পারে না। অ্যারিজোনা
ইউনিভার্সিটির নিদ্রা বিশেষজ্ঞ রুবিন নেইম্যানের কথায়, 'তন্দ্রাচ্ছন্ন
থাকার চেয়ে জেগে থাকা ভালো। কারণ দুর্বল ঘুম আরো ক্লান্ত করে দেয়।'
২. রাতে ঘুম না হলে বিছানা থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যে পুষ্টিকর
প্রাতঃরাশ করা দরকার। চেষ্টা করবেন খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে। তবে ভুলেও
চিনি দিয়ে কিছু খাবেন না। নিদ্রা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাতঃরাশে চিনি আরো
ক্লান্তি ডেকে আনে। এনার্জির মাত্রা কমিয়ে দেয়।
৩. কফি খেতে ভালো লাগলেও শরীর চাঙ্গা রাখতে সকালে খুব ছোট কাপে এক কাপ
কফি খাওয়াই ভালো। বরং দুপুরে ৩টা নাগাদ আরেক কাপ কফি চলতে পারে।
৪. ক্লান্ত চোখে কখনোই সানগ্লাস পরার ভুল করবেন না। চিকিৎসকরা বলছেন,
বিনিদ্র রাতের পর সূর্যের উজ্জ্বল আলো চোখে পড়লে ভালো। সানগ্লাস চোখকে আরো
ক্লান্ত করে দেয়।
৫. দুপুরে কাজের ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি করলে আলস্য জাঁকিয়ে বসবে না।