নাটোর সদর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের পাশে অবস্থিত লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ঔষধী গ্রাম। ৮০০ পরিবারের হাজার ভেষজ চাষী কর্তৃক উৎপাদিত ২০ থেকে ৩০ মেট্রিক টন ঔষধি গাছ প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়। এলাকায় প্রবেশের সাথে সাথে রাস্তার দু‘ধারে দেখা যায় ঔষধী গাছের সমারোহ।
ঔষধী গাছ গাছড়ার মধ্যে দুধসাগর, পাথরকুচি, কাশাবা, উলুটকমল, কর্ণপলাশ, শিমুল মূল, দাউদ মূল বাসক, তুলশি, ঘৃত কাঞ্চন, শতমুলি, শিমুল, অশ্বগন্ধা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও রয়েছে- বাসক, তুলসী, হরীতকী, বহেরা, তেলাকুচ, কেশরাজ, ধুতরা, পুদিনা, যষ্টিমধু, নিম, অর্জুন, ওলটকম্বল, লজ্জাবতী, হস্তী পলাশ, নিশিন্দা, রাজকণ্ঠ, নীলকণ্ঠ, হিমসাগর, দুধরাজ, ঈশ্বর মূল, রাহু চান্দাল, রক্ত চান্দাল, ভাই চান্দাল, বোন চান্দাল, ভুঁইকুমড়া, আমরুল, কেয়ামূলসহ শত রকমের ঔষধি গাছ।
ঔষধি গাছের চাষের সময়- কার্তিক মাসে ঘৃত কাঞ্চন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে মিসরিদানা, শতমূল, শিমুলের মূল, হস্তীপলাশ, বিজ্জিমূল, পাথরকুচি এবং বছরের বিভিন্ন সময় অন্যান্য ঔষধি গাছের চারা রোপণ করতে হয়। প্রতিদিন গড় উৎপাদন ২০০ থেকে ২৫০ মণ। এসব ঔষধি গাছের ক্রেতারা হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক কবিরাজ, আয়ুর্বেদিক, ভেষজ বিক্রির হকার ও পাইকাররা।
ঔষধি গ্রামের ভেষজ চাষিদের একত্র করে এ গ্রামে গড়ে উঠেছে লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ঔষধি গ্রাম সমবায় সমিতি লিমিটেড। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবিরাজ মো. আফাজ উদ্দিন পাগলা। গ্রামের ভেষজ বিপ্লবের এই নেপথ্য নায়ক ২০০৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চ্যানেল আই কৃষি পদক’ পান। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৩০ জন।
খোলাবাড়িয়া, কাঁঠালবাড়িয়া, ইব্রাহিমপুর, লক্ষ্মীপুর, সুলতানপুর, চুবারিয়া, পিজ্জিপাড়া, দরারপুর, টলটলিয়াপাড়া, নতুনবাজার, হাজিগঞ্জ, আমিরগঞ্জসহ ১৫ গ্রাম নিয়ে অবস্থিত ঔষধি গ্রামের ১০০ থেকে ১২০ জন কবিরাজ, ৪০০ থেকে ৫০০ জন হকার, ১০০- ১৫০ জন সাধারণ ব্যবসায়ী এবং ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের জীবন ঔষধি গাছের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে এসব গ্রামের কৃষকেরা অধিকাংশ কৃষিজমি ও বাড়ির আঙ্গিনার আশেপাশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ঔষধীজাত গাছ গাছড়ার চাষাবাদ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করে থাকে।
ঔষধি গাছের চাষের সময়- কার্তিক মাসে ঘৃত কাঞ্চন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে মিসরিদানা, শতমূল, শিমুলের মূল, হস্তীপলাশ, বিজ্জিমূল, পাথরকুচি এবং বছরের বিভিন্ন সময় অন্যান্য ঔষধি গাছের চারা রোপণ করতে হয়। প্রতিদিন গড় উৎপাদন ২০০ থেকে ২৫০ মণ। এসব ঔষধি গাছের ক্রেতারা হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক কবিরাজ, আয়ুর্বেদিক, ভেষজ বিক্রির হকার ও পাইকাররা।
ঔষধি গ্রামের ভেষজ চাষিদের একত্র করে এ গ্রামে গড়ে উঠেছে লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ঔষধি গ্রাম সমবায় সমিতি লিমিটেড। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবিরাজ মো. আফাজ উদ্দিন পাগলা। গ্রামের ভেষজ বিপ্লবের এই নেপথ্য নায়ক ২০০৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চ্যানেল আই কৃষি পদক’ পান। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৩০ জন।
খোলাবাড়িয়া, কাঁঠালবাড়িয়া, ইব্রাহিমপুর, লক্ষ্মীপুর, সুলতানপুর, চুবারিয়া, পিজ্জিপাড়া, দরারপুর, টলটলিয়াপাড়া, নতুনবাজার, হাজিগঞ্জ, আমিরগঞ্জসহ ১৫ গ্রাম নিয়ে অবস্থিত ঔষধি গ্রামের ১০০ থেকে ১২০ জন কবিরাজ, ৪০০ থেকে ৫০০ জন হকার, ১০০- ১৫০ জন সাধারণ ব্যবসায়ী এবং ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের জীবন ঔষধি গাছের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে এসব গ্রামের কৃষকেরা অধিকাংশ কৃষিজমি ও বাড়ির আঙ্গিনার আশেপাশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ঔষধীজাত গাছ গাছড়ার চাষাবাদ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করে থাকে।