ঢাকায় ১০১ কিলোমিটার বেগে তীব্র কালবৈশাখী, বজ্রঝড়

 

বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন; ঢাকায় চার দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে আবার, বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস।

টানা কয়েক দিনের অস্বস্তিকর গরমের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় তীব্র কালবৈশাখী বয়ে গেছে; ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝরেছে বৃষ্টিও।

মঙ্গলবার বিকালে শুরু হওয়া এ ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০১ কিলোমিটার। এসময় নগরীতে বাইরে থাকা মানুষজন সাময়িক বেকায়দায় পড়লেও কালবৈশাখী, বজ্রপাত ও তাপপ্রবাহের এ মৌসুমে ঝড়ের সঙ্গে আসা এক পশলা বৃষ্টিতে স্বস্তিও পেয়েছেন। বিকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি রাতেও ঝিরঝির করে ঝরছে।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার পরে আকাশে বজ্রমেঘের আনাগোনা বাড়তে থাকে আর সঙ্গে অস্থায়ী দমকা হাওয়া। আকাশ কালো হয়ে আসার মধ্যে ধীরে ধীরে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির দাপটও বাড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, পরিকল্পনা কমিশনের পেছনে ঝড়ে গাছ পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এর পাঁচ মিনিট পর মৌসুমের সর্বোচ্চ কালবৈশাখী বয়ে যায় ১০১ কিলোমিটার/ঘণ্টা বেগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আবহাওয়া স্টেশনে।

 

আবহাওয়াবিদ ফারুক বলেন, “আগামী তিন দিন ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে। ২৫ মে ঢাকা ও আশপাশে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তবে ২৬ ও ২৭ মে এর পরে বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে না। তাপমাত্রা আবার বাড়তে থাকবে।”

পূর্বাভাসে দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।