হাজার বছরের মধ্যে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। ফলে বাঁচতে চাইলে এ
পৃথিবী ছাড়তে হবে। পাড়ি জমাতে হবে মহাকাশে। নইলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে হবে
পুরো মানবজাতিকে। এভাবেই সতর্ক করে দিয়েছেন স্টিফেন হকিং।
ব্রিটিশ এই তাত্তি্বক মহাকাশ বিজ্ঞানী বলেছেন, 'মানবজাতির ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমাদের উচিত মহাশূন্যে যাত্রা করা।'
৭৩ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী বলেন, 'আরও হাজারখানেক বছর যে আমরা টিকে থাকব, আমি তা মনে করি না। যদি না এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারি আগেভাগেই।'
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২৫ এপ্রিল শনিবার সিডনি অপেরা হাউসের অনুষ্ঠানে মেয়ে লুসির সঙ্গে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিফেন হকিং। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিতিকে সাহস দিতে হকিং বলেন, 'নক্ষত্রের দিকে চাও। পায়ের তলায় নয়।'
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হকিং বলেছিলেন, মানুষজাতিকে টিকে থাকতে হলে 'অন্য কোনো গ্রহে কলোনি গড়ে তুলতে হবে'। হকিং তার জীবনীনির্ভর ফিল্ম 'থিওরি অব এভরিথিং' নিয়েও কথা বলেন শনিবার। কথা বলেন তার বিখ্যাত বই 'আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' নিয়ে, যেখানে তিনি মাত্র একটি সূত্র (আইনস্টাইনের ঊ=সপ২) উল্লেখ করেছেন। হকিং মজা করে বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত, ওই সূত্রটি বাদ দিলে বইটার বিক্রি আরও দ্বিগুণ বেড়ে যেত!' এই অনুষ্ঠানেও হকিং পুনরায় তার সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছেন_ একদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের আগ্রাসী মনোভাব ও বর্বরতা বেড়েই চলেছে। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মতো হুমকির মুখে নিজেকে নিজেই ঠেলে দিচ্ছে মানুষ। এরও আগে, ২০১০ সালের আগস্টে তিনি একই ধরনের কথা বলেছিলেন। অবশ্য ন্যানো টেকনোলজির বিকাশকে কেন্দ্র করে জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী মার্টিন রিজ আওয়ার ফাইনাল সেঞ্চুরিতে লিখেছিলেন এ শতাব্দীতে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে যদি না গ্রহান্তরে মানুষ বেরিয়ে পড়ে।
হসাহাবুদ্দিন আরেফিন, সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট
ব্রিটিশ এই তাত্তি্বক মহাকাশ বিজ্ঞানী বলেছেন, 'মানবজাতির ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমাদের উচিত মহাশূন্যে যাত্রা করা।'
৭৩ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী বলেন, 'আরও হাজারখানেক বছর যে আমরা টিকে থাকব, আমি তা মনে করি না। যদি না এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারি আগেভাগেই।'
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২৫ এপ্রিল শনিবার সিডনি অপেরা হাউসের অনুষ্ঠানে মেয়ে লুসির সঙ্গে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিফেন হকিং। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিতিকে সাহস দিতে হকিং বলেন, 'নক্ষত্রের দিকে চাও। পায়ের তলায় নয়।'
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হকিং বলেছিলেন, মানুষজাতিকে টিকে থাকতে হলে 'অন্য কোনো গ্রহে কলোনি গড়ে তুলতে হবে'। হকিং তার জীবনীনির্ভর ফিল্ম 'থিওরি অব এভরিথিং' নিয়েও কথা বলেন শনিবার। কথা বলেন তার বিখ্যাত বই 'আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' নিয়ে, যেখানে তিনি মাত্র একটি সূত্র (আইনস্টাইনের ঊ=সপ২) উল্লেখ করেছেন। হকিং মজা করে বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত, ওই সূত্রটি বাদ দিলে বইটার বিক্রি আরও দ্বিগুণ বেড়ে যেত!' এই অনুষ্ঠানেও হকিং পুনরায় তার সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছেন_ একদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের আগ্রাসী মনোভাব ও বর্বরতা বেড়েই চলেছে। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মতো হুমকির মুখে নিজেকে নিজেই ঠেলে দিচ্ছে মানুষ। এরও আগে, ২০১০ সালের আগস্টে তিনি একই ধরনের কথা বলেছিলেন। অবশ্য ন্যানো টেকনোলজির বিকাশকে কেন্দ্র করে জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী মার্টিন রিজ আওয়ার ফাইনাল সেঞ্চুরিতে লিখেছিলেন এ শতাব্দীতে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে যদি না গ্রহান্তরে মানুষ বেরিয়ে পড়ে।
হসাহাবুদ্দিন আরেফিন, সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট