স্বামীর রচনা!!!
ভুমিকাঃ স্বামী একটি গৃহপালিত ও স্ত্রীভক্ত প্রাণী।
পুরুষ মানুষ বিয়ের মাধ্যমে স্বামীতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। এদের সঠিকভাবে
পোষমানালে ঘর ও বাইরের সমস্তরকম কাজে ব্যবহার করা যায়।
খাদ্যঃ এরা সর্বভুক প্রাণী হলেও চুমু ও আদর খেতে খুব পছন্দ করে।
আকৃতিঃ এদের সাধারণত একটি ভুঁড়ি, শক্ত ঘাড়, দুর্বল মেরুদণ্ড এবং টুপি পরবার উপযোগী মাপসই একটি মাথা থাকে।
প্রকৃতিঃ এরা সাধারণত নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও ঝগড়াঝাঁটীতে অপটু হয়ে থাকে।
বিয়ের আগে এদের স্বভাবে সিংহের বল থাকলেও বিয়ের পর সেই সিংহ বিড়ালে পরিনত
হয়। তাই এরা স্ত্রী-প্রভুর অবাধ্য হয়ে চরম অশান্তি ভোগের আশঙ্কায় চীরকাল
মিনমিনে স্বভাবের মিনসে হয়ে থাকে। এরা পুরনো কথার দিন-ক্ষণ, নাড়ি-নক্ষত্র
সেভাবে মনে রাখতে পারেনা বলে ঝগড়া বা বিতর্কে প্রায়শই পরাজিত হয়। সাধারণত
নারীদের প্রতি এদের একটু দুর্বলতা দেখতে পাওয়া যায়। কোন মহিলার অনুরোধ বা
আব্দার এরা সহজে ফেলতে পারে না।
উপকারিতাঃ স্বামী উপকারী ও ভীষণভাবে
নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি প্রাণী। এরা ছুটির দিনে সংসারের নানাবিধ কাজ, যেমন
প্যান পরিস্কার, ফ্যান পরিষ্কার প্রভৃতি করে থাকে। এছাড়া এরা স্ত্রীর চোখে
আইলাইনার, আইশ্যাডো প্রভৃতি লাগিয়ে দিয়ে, শাড়ির কুঁচি ধরে স্ত্রীকে
রূপচর্চাতে সাহায্য করে। এরা ভ্রমণের সময়ে কুলী রূপ ধারণ করে ভারী ব্যাগ
বহন করে, কখন বা এরা ড্রাইভার রূপ ধারণ করে স্ত্রীকে লং ড্রাইভে নিয়ে যায়।
এদেরকে বিবাহ করে অনেক অতি সাধারণ নারী বিদেশ ভ্রমণ ও বসবাসের সুযোগ পায়।
কর্মক্ষেত্রে অবসরের পর এদেরকে নাতি-নাতনি প্রতিপালন, ঘর পাহারা, বারবার
দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিস কিনে আনা – এই ধরনের গৃহস্থালির কাজে
ব্যভহার করা হয়ে থাকে।
অপকারিতাঃ অনেক প্রকার স্বামী অফিসের কাজে
অধিকাংশ দিন রাত করে বাড়ী ফেরে। অনেকে আবার বাড়ীতে অফিসের কাজও নিয়ে আসে।
তাই এরা স্ত্রীকে তাদের চাহিদামতো সময় দিতে পারে না। অধিকাংশ স্বামীই
স্ত্রীকে শপিং-
এ নিয়ে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। তাদের শাড়ী, গয়না কেনার যথাযথ সঙ্গী হতে পারে না।
উপসংহারঃ গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে সংসারে স্বামীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রাণী বিরল।