আজ মানবতা ত্রাহি সুরে চিৎকার করছে। মানবতা,
নীতি-নৈতিকতা, দয়া-মায়া, ভালোবাসা নামক সোনার হরিণ পৃথিবী থেকে উধাও হয়েছে
বহু আগেই।
একদিকে প্রায় অসীম সম্পদের অধিকারী গুটিকতক পুঁজিপতির বিলাস-ব্যাসনে ডুবে থাকা, আর আরেকদিকে বুভুক্ষু হাড্ডিসার মানুষের সকল মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পশু পর্যায়ের জীবনযাপন। পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতার অনুসরণ করতে গিয়ে আজ আমাদের এই করুণ পরিণতি। ‘তেলা মাথায় তেল ঢালা’ এ সভ্যতার মানদণ্ড মেনে নিয়ে আমাদের সমাজ ভয়াবহ ভারসাম্যহীনতায় পতিত হয়েছে। যার আছে তাকে আরও দেয়া হচ্ছে, যার নেই সে থাকছে শূন্য হাতে। যার ব্যাংক ব্যালেন্স, গাড়ি-বাড়ী, জায়গা-জমি আছে, বিত্ত-প্রাচুর্য আছে ব্যাংক তাকেই ঋণ দেয়। যার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, অর্থ-বিত্ত নেই, সে মাথা খুঁটে মরলেও ঋণ পায় না।
যার বংশ গৌরব আছে, অর্থ-সম্পদ আছে সে-ই সমাজের কর্তা হচ্ছে, যার বংশ মর্যাদা নেই, অর্থ-সম্পদ নেই তার যেন কর্তা হবার যোগ্যতাই নেই। যার কাকা-মামা চাকুরে সে-ই চাকরি-বাকরি পাচ্ছে, যার বংশে কেউ চাকুরে নেই শিক্ষিত হয়েও তাকে দিন কাটাতে হচ্ছে কুলি-মজুরি করে। কথিত ভদ্রলোক মহোদয়গণ কেবলমাত্র স্যুটেড-ব্যুটেড মহাশয়দেরকেই তাদের লোক দেখানো ভদ্রতা প্রদর্শন করেন, বিনয় দেখান, আর যাদের পরনে দামি কাপড় নেই তাদের দেখে নাক ছিটকান। দাওয়াত তাদেরকেই দেওয়া হয় যারা দামি উপহার সামগ্রী দিতে পারবে, পাল্টা দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে পারবে, বিশেষ অতিথি হিসেবে তাদেরকেই রাখা হায় যাদের কাছ থেকে সুবিধা লাভ করা যাবে। সালাম তাদেরকেই ঠোকা হয় যাদের পেশীশক্তি আছে, খাবার তাদেরকেই খাওয়ানো হয় যাদের বাসায় ফ্রিজভর্তি দামি খাবার আছে। এই সিস্টেম, এই নীতিবিবর্জিত মানদণ্ড কার্যত মানুষকে পশুতে পরিণত করছে। ধনী আরও ধনী হচ্ছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে; তথাকথিত সম্মানিতরা আরও সম্মানিত হচ্ছে, অপমানিতরা আরও অপমানিত হচ্ছে। এই তেলে মাথায় তেল দেওয়ার প্রবণতাকে আমরা ঘৃণা করি। এই অসভ্যতা থেকে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত সমাজের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি নেই। আর নির্যাতিত মানুষের মুক্তি না হলে জাতির উন্নতি-প্রগতি চিরদিনই অধরা থেকে যাবে। তাই আসুন সকলে সেই মুক্তির মিছিলে সামিল হই।
একদিকে প্রায় অসীম সম্পদের অধিকারী গুটিকতক পুঁজিপতির বিলাস-ব্যাসনে ডুবে থাকা, আর আরেকদিকে বুভুক্ষু হাড্ডিসার মানুষের সকল মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পশু পর্যায়ের জীবনযাপন। পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতার অনুসরণ করতে গিয়ে আজ আমাদের এই করুণ পরিণতি। ‘তেলা মাথায় তেল ঢালা’ এ সভ্যতার মানদণ্ড মেনে নিয়ে আমাদের সমাজ ভয়াবহ ভারসাম্যহীনতায় পতিত হয়েছে। যার আছে তাকে আরও দেয়া হচ্ছে, যার নেই সে থাকছে শূন্য হাতে। যার ব্যাংক ব্যালেন্স, গাড়ি-বাড়ী, জায়গা-জমি আছে, বিত্ত-প্রাচুর্য আছে ব্যাংক তাকেই ঋণ দেয়। যার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, অর্থ-বিত্ত নেই, সে মাথা খুঁটে মরলেও ঋণ পায় না।
যার বংশ গৌরব আছে, অর্থ-সম্পদ আছে সে-ই সমাজের কর্তা হচ্ছে, যার বংশ মর্যাদা নেই, অর্থ-সম্পদ নেই তার যেন কর্তা হবার যোগ্যতাই নেই। যার কাকা-মামা চাকুরে সে-ই চাকরি-বাকরি পাচ্ছে, যার বংশে কেউ চাকুরে নেই শিক্ষিত হয়েও তাকে দিন কাটাতে হচ্ছে কুলি-মজুরি করে। কথিত ভদ্রলোক মহোদয়গণ কেবলমাত্র স্যুটেড-ব্যুটেড মহাশয়দেরকেই তাদের লোক দেখানো ভদ্রতা প্রদর্শন করেন, বিনয় দেখান, আর যাদের পরনে দামি কাপড় নেই তাদের দেখে নাক ছিটকান। দাওয়াত তাদেরকেই দেওয়া হয় যারা দামি উপহার সামগ্রী দিতে পারবে, পাল্টা দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে পারবে, বিশেষ অতিথি হিসেবে তাদেরকেই রাখা হায় যাদের কাছ থেকে সুবিধা লাভ করা যাবে। সালাম তাদেরকেই ঠোকা হয় যাদের পেশীশক্তি আছে, খাবার তাদেরকেই খাওয়ানো হয় যাদের বাসায় ফ্রিজভর্তি দামি খাবার আছে। এই সিস্টেম, এই নীতিবিবর্জিত মানদণ্ড কার্যত মানুষকে পশুতে পরিণত করছে। ধনী আরও ধনী হচ্ছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে; তথাকথিত সম্মানিতরা আরও সম্মানিত হচ্ছে, অপমানিতরা আরও অপমানিত হচ্ছে। এই তেলে মাথায় তেল দেওয়ার প্রবণতাকে আমরা ঘৃণা করি। এই অসভ্যতা থেকে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত সমাজের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি নেই। আর নির্যাতিত মানুষের মুক্তি না হলে জাতির উন্নতি-প্রগতি চিরদিনই অধরা থেকে যাবে। তাই আসুন সকলে সেই মুক্তির মিছিলে সামিল হই।